বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে দু দলের সমান তিনটি করে জয়।
আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২০০৯ সালে। আর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯৮৬ সালে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের খেলা চলছে। আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে শেষ ওভারে হারে। তবে এর আগে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নেয় আফগানিস্তান।
কীভাবে এশিয়া কাপ জয়ের সম্ভাব্য একটি দল হয়ে উঠলো?
রশিদ খান ও স্পিনাররা
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল একজন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতে আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ অনেক বড় একটা হাতিয়ার।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান নতুন একটা দেশ হলেও বেশ কজন প্রতিভাবান বোলার আছে যারা প্রভাব রাখছে দলের পারফরম্যান্সে।
রশিদ খান ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে আছেন।
এছাড়া মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী ভালো বোলিং করছেন।
তিনজন স্পিনারের কেউই ৩.৫০ এর বেশি রান দিচ্ছেন না ওভার প্রতি।
বিপর্যয় সামলে ওঠার ক্ষমতা
শুরুটা ধীরে হলেও আফগান ব্যাটসম্যানরা বিপর্যয় সামলে উঠছে নিয়মিত।
আফগানিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী তেমন ভালো না করলেও, হাসমতউল্লাহ শহীদি ৩ ম্যাচে ১৯২ রান করেছেন।
রহমত শাহ ৩ ম্যাচে ১১৮ রান করেছেন।
স্লগ ওভারের দ্রুত রান তোলা
মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহসানুল্লাহের শুরুটা স্লথ গতির হলেও মাঝপথে ইনিংস সামলে শেষদিকে আফগানিস্তানের ব্যাটম্যানরা রান তুলছে দ্রুত।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচে ২৫০ বা তার কাছাকাছি রান তুলেছে একমাত্র আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ১০ ওভারে ৯৭ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ১০ ওভারে ৮৭ রান তুলেছে আফগান ব্যাটসম্যানরা।
বিভিন্ন দেশে লিগ খেলার অভিজ্ঞতা
রশিদ খান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন। সেই দলের কোচ ছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার মতে, বিভিন্ন দেশের লিগগুলোতে খেলা আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করে থাকেন। যা তাদের ক্রিকেটীয় চিন্তা-ভাবনাকে আরো ক্ষুরধার করে তোলে।”
“এতোগুলো প্লেয়ার এতো বড় বড় লিগে খেলার কারণে দলের মানসিকতায় পরিবর্তন আসে।”
সূত্র, বিবিসি